দুর্নীতির তিন মামলায় উপসচিব মতিনের ২৯ বছরের কারাদণ্ড

February 13, 2024

Category: ব্লগ



দুর্নীতির তিন মামলায় উপসচিব মতিনের ২৯ বছরের কারাদণ্ড

dhaka-post

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:০৯

689Shares

facebook sharing button

whatsapp sharing button

অ+

অ-

দুর্নীতির তিন মামলায় উপসচিব মতিনের ২৯ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতির পৃথক তিন মামলার আসামি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপসচিব ও গোপালগঞ্জের সাবেক সহকারী কমিশনার মো. শাহরিয়ার মতিনের ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে পৃথক ওই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন>>>এমটিএফইর মতো উচ্চপ্রযুক্তির দুর্নীতি ধরতে জাইকার দ্বারস্থ দুদক

বিজ্ঞাপন

 

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ মে তৎকালীন সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে দায়েরকৃত একটি মামলায় ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। যেখানে তার বিরুদ্ধে আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা আড়াল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও লেয়ারিং করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলার রায়ে শাহরিয়ার মতিনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৯৭ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে ২০১৬ সালের অক্টোবরে দায়ের দুদকের অপর এক মামলায় উপসচিব মোহাম্মদ শাহরিয়ার মতিন ও বরখাস্তকৃত (পলাতক) কাননগো মো. আব্দুল জব্বারকে দণ্ডবিধি ৪০৯/২০১/১০৯ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। একই মামলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় ওই ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

 

আরও পড়ুন>>>ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে বসবাস, দুর্নীতি ৬৯০ কোটি!

একই মামলায় এল এ চেক গ্রহীতা মো. রাজিব মিয়া ও সাজিদ মোল্লাকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ৫ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। 

অপরদিকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে সরকারি দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মো. শাহরিয়ার মতিন, গোপালগঞ্জের এল.এ. শাখার বরখাস্তকৃত সাবেক কানুনগো রমেশ পাল, সাবেক কানুনগো মো. আব্দুল জব্বার, এল.এ. শাখার সাবেক সার্ভেয়ার মো. কাসেদুল হক (শামীম), সাবেক সার্ভেয়ার মো. ইসমাইল এবং মো. মোশাররফ হোসেনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় বাকি ১১ আসামীদের ১ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 

Link:https://www.dhakapost.com/national/225480

 



  • Tags: